রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

বিপিএলে নতুন দল যোগ হবে আগামী বছর থেকেঃ ইসমাইল হায়দার

আগামী বছর থেকে বিপিএলে নতুন দল যোগ হবে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচীব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তাঁর মতে আগে থেকে সতর্ক থাকায় এবার অনিয়ম ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে শেষ করা সম্ভভ হয়েছে এই জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। আর ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে ধীরে ধীরে এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে দাবী মল্লিকের।
তুমুল প্রতিন্দ্বীতা আর জমজমাট মাঠের লড়াইয়ে শেষ হলো বিপিএলের তৃতীয় আসর। নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে অনেক নাটকিয়তায় এই আসরের শিরোপা নিজেদের করে নিল নতুন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফ্রাঞ্চাইজির মালিক, খেলোয়াড় আর বোর্ডের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ হয়েছে বলে জানালেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচীব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
শর্ট ভার্সনের জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টে এবার ছয়টি দল অংশ নিলেও আগামী বছর থেকে আরো নতুন ফ্রাঞ্চাইজি যোগ হবে বলে জানালেন এই বোর্ড পরিচালক।
জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে বিশ্বের টি-টুয়েন্টির অনেক টুর্নামেন্টের চেয়ে বর্তমানে বিপিএল বেশ এগিয়ে রয়েছে বলে দাবী ইসমাইল হায়দার মল্লিকের

বিপিএল নিয়ে সন্তুষ্ট বিদেশীরা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর। কিছু সমস্যা ছাড়া বলা যায়, প্রায় সফলভাবেই শেষ হয়েছে এবারের আসর। সেই সফলতা আর সমস্যাগুলো নিয়ে কয়েকদিন ধরে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। আর সেইসব আলোচনা আর সমালোচনার জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভাবনা গণমাধ্যমকে জানাতেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকদের।
গত সেপ্টেম্বরে গুলশানে এক বিদেশী নাগরিক নিহত হবার ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবু বিসিবি সভাপতি বারবারই বলে আসছিলেন, ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ। অনেক বিদেশী ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে আয়োজিত বিপিএল তার সেই দাবিকে জোরালো করেছে আরো। আর এই আয়োজনকে তাই তিনি দেখছেন একটি ‘প্লাস পয়েন্ট’ হিসেবে।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের এখানে জঙ্গি তৎপরতার কথা বলে ২-১টি সিরিজ বাতিল করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আসেনি, দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলও আসেনি। এবারের বিপিএলে আমরা যে ধরণের বিদেশী খেলোয়াড়, কোচ এবং ফিজিও আশা করেছিলাম, মোটামুটি সবাইকেই আমরা পেয়েছি। এখানে নাম করা খেলোয়াড়ও খেলে গেছে।’
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা বিদেশীদের প্রত্যেকেই বিপিএলের এবারের আয়োজনের প্রশংসা করেছেন জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ’৬৫ জন বিদেশী খেলোয়াড়, ৬ জন কোচ আর ফিজিও এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই এই টুর্নামেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে খেলতে উনারা ইজি ফিল করেন। সামনেও এখানে খেলতে উনারা আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।’
এবারের বিপিএল ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে বলেও মনে করছেন নাজমুল হাসান, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে টুর্নামেন্টটা জমজমাট কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে কিনা। এটা না হলে কোন টুর্নামেন্টই দর্শক টানতে পারে না। আমরা লক্ষ্য করেছি, এবারের টুর্নামেন্টে দর্শকদের যে সাড়া ছিল তা অকল্পনীয়। প্রত্যেকটা দলই প্রচুর সাপোর্ট পেয়েছে। এটাই প্রমাণ করে এবারের বিপিএলটা দর্শকদেরও আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে।’

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

‘বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় বড় ছাড় দিয়েছে’

(প্রিয়.কম) অনেক জ্বল্পনা কল্পনার পর অবশেষে বিপিএলের বকেয়া পাওনা বুঝে পেয়েছেন দেশি ক্রিকেটাররা। অনেকে রোববারই চেক নিয়ে গেছেন। বাকিরা নিজেদের সুযোগ সুবিধা বুঝে চেক নিয়ে যাবেন। তবে চুক্তির পুরো অর্থ দেয়া হয়নি কাউকেই।
সমঝোতার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বকেয়া দেয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। আর এই সমঝোতায় সবচেয়ে বেশি ছাড় দিয়েছেন কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার। এমনই জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব পাওয়া নাইমুর রহমান দুর্জয়।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক দুর্জয় বলেছেন, ‘টাকার প্রয়োজনীয়তাটা কোন খেলোয়াড়ের কী রকম, সেটা একটু বিবেচনায় ছিল। এখানে আমাদের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় বড় ধরণের ছাড় দিয়েছে। যারা প্রিমিয়ার লিগ বা অন্য খেলা থেকে টাকা পয়সা পাচ্ছেনা সেটা আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছি।’
চুক্তি অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটারই বকেয়া পাননি। এ বিষয়ে দুর্জয় বলেন, ‘অনেকেরই যেমন পাওনা অনেক বেশি। সেখানে আমরা কম দিচ্ছি। তার তৃপ্তিটা ওইরকম হবে না। তারা ধীরে ধীরে বুঝতে চেষ্টা করেছে। টাকাটা যেভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, তা সহজ নয়। খেলোয়াড়দের জীবনটাই এমন। যতদিন ফর্মে থাকব, ততদিনই আয় হবে।’

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

‘এ’ দল যাচ্ছে ভারতে

স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের আগে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের চাওয়া অনুযায়ী জাতীয় ক্রিকেট লিগের দুই রাউন্ডের খেলা হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে। ক্রিকেটারদের ঝালিয়ে নিতে এনসিএল আয়োজন করছে বিসিবি।
তবে এর মাঝেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ভারত সফর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সূচি চূড়ান্ত করেছে। ভারতে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে জাতীয় দলের মোড়কে তৈরি করা ‘এ’ দল।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, রোববার ‘এ’ দলের তালিকা প্রকাশ করা হবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতি সেরে নিতে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার থাকবেন ‘এ’ দলে।
প্রতিবেশী দেশে সফরের পর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে ‘এ’ দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ-ভারত ‘এ’ দলের সফরসূচি
১৬ সেপ্টেম্বর : ১ম ওয়ানডে, ভারত-‘এ’, বেঙ্গালুরু
১৮ সেপ্টেম্বর : ২য় ওয়ানডে, ভারত-‘এ’, বেঙ্গালুরু
২০ সেপ্টেম্বর : ৩য় ওয়ানডে, ভারত-‘এ’, বেঙ্গালুরু
২২ সেপ্টেম্বর : ৩ দিনের প্রথম ম্যাচ, কর্ণাটক, মাইসোরে
২৭ সেপ্টেম্বর : ৩ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ, ভারত-‘এ’, বেঙ্গালুরু

বিপিএলের বকেয়া বুঝে পেলেন ক্রিকেটাররা

ঢাকা: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে চেক তুলে দিয়ে বকেয়া পাওনা পরিশোধের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা। এছাড়া বোর্ডের হিসাব বিভাগের কাছে প্রায় ৭০ ক্রিকেটারের চেক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সেখান থেকে নিজেদের পাওনা বুঝে নিয়েছেন বিপিএলের প্রথম দুই আসরে অংশ নেওয়া অনেক দেশি ক্রিকেটাররা।
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে অংশ নেয়া সাত দলের ক্রিকেটারদের বকেয়া হিসাব করে প্রায় ৫ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আড়াই কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৭০ ক্রিকেটারের মধ্যে।
আর এ তালিকা প্রস্ততের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল এ বিষয়টি নিয়ে রোববার বলেন, ‘আনুমানিক ৭০ জন খেলোয়াড়ের মতো পাবে। তবে রংপুর রাইডার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেরা পেমেন্ট করতে চায়। যে কারণে আজ রংপুর রাইডার্সের পেমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই রংপুর রাইডার্সের পেমেন্টও হয়ে যাবে। বিপিএলে যত দেশি ক্রিকেটার অংশ নিয়েছে সবাই টাকা পাচ্ছে।’
এদিকে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি টাকা না দিয়েই ক্রিকেটারদের আগেই স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছে। অনেক ক্রিকেটারের এমন অভিযোগ থাকলেও সে সব আমলে নিতে রাজি নয় বিপিএল কাউন্সিল।
রোববার এ প্রসঙ্গে আফজালুর রহমান বলেন, ‘চিটাগাং কিংসের অনেক খেলোয়াড়ই এর আগে আপত্তি তুলে ছিলেন যে ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের স্বাক্ষর নিলেও বুঝিয়ে দেয় হয়নি টাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বলা হয়েছে যদি তারা পেমেন্ট করে থাকে খেলোয়াড়দের সইসহ দিতে হবে। কিন্তু এখন কোনো খেলোয়াড় যদি সই করে টাকা না নেয়, আপনি যদি একটা কাগজে সই করলেন সবকিছু বুঝে পেলাম তারপর বললেন আমি বুঝে পাই নাই, সে ক্ষেত্রে আমরা কী করব? এর দায় তো কেউ নিতে পারবে না। কোনো খেলোয়াড় যদি ডকুম্যান্টে সাইন করে টাকা না নেয়। সেই দায়িত্বতো বোর্ড নেবে না।’
এসব ছোটখাট ঝামেলা ছাড়া পুরো বিষয়টি চমৎকারভাবে সম্পন্ন হওয়ায় দারুণ সন্তুষ্ট বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুল রহমান সিনহা। রোববার বিসিবি কার্যালয়ে সিনিয়র তিন ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের হাতে চেক তুলে দিয়ে বকেয়া পাওনা পরিশোধের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলে, ‘আমাদেরও খারাপ লাগছিল। আমরা চাইনি তারা বঞ্চিত হোক। ক্রিকেটারদের চুক্তি ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফেল করায় সেটা আমরা দিয়ে দিচ্ছি। সব মিলিয়ে আনুমানিক ২ কোটি টাকা। যারা একদমই পায়নি বা যাদের বকেয়া ছিল তাদের দিয়ে দেয়া হয়েছে। ওরা তিনজন (মাশরাফি, মুশফিক, তামিম) যেহেতু সিনিয়র তাই ওদের আগে দিয়েছি। বাকিরা হিসাব বিভাগ থেকে নিয়ে নেবে। আজই দেওয়া শেষ হয়ে যেতে পারে।’
ক্রিকেটারদের বকেয়া তুলে দেয়ার পর আফজালুর রহমান আশা প্রকাশ করেন, ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকায় সামনে আর পাওনা নিয়ে জটিলতার কোনো ব্যাপার থাকবে না। তবে এখনও নিশ্চিত হয়নি বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অ্যাম্পায়ার, স্কোরারসহ ম্যাচ অফিসিয়ালদের বকেয়া। এ নিয়ে সিনহা বলেন, ‘আম্পায়ার এবং অন্য বিষয়গুলোতে যে বকেয়া রয়েছে, তা গেম-অনের দেওয়ার কথা ছিল। ওদের সঙ্গে কি সমস্যা হয়েছে এই সব আমরা জানি না। সেখানে কিছু কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বোর্ড এগুলো দেখে এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি হবে। এগুলোর সবই অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে।’

ওয়ান নিউজ বিডি

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি ফুটবলারদের 'লজ্জাজনক' আচরণ

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে খেলে আসে বাংলাদেশ। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার মানতে হয় বাংলাদেশ দলকে। তবে অজিদের বিপক্ষে বড় হার নয় কথা উঠেছে মাঠের বাইরের বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের আচরণ নিয়ে।
ফুটবলারদের আচরণে পুরো বাংলাদেশিদের ‘আচরণজ্ঞান’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্পষ্ট করে বলা যায়, টিম হোটেলে ফুটবলারদের কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় সেখানকার অন্য অতিথিদেরই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালের কাছে এমনটাই অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক বাংলাদেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাংলাদেশি পার্থে থাকেন। সফরে বাংলাদেশ দল যে হোটেলে উঠেছিল, সেখানেই কাজ করেন তিনি। অফিস সেকশনে কাজ করার সুবাদে তিনি দেখেছেন স্বদেশের ফুটবলারদের আচরণ, কাণ্ডজ্ঞান। আর শুনেছেন এ কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে ভিনদেশি অতিথিদের প্রশ্ন ও ক্ষোভের কথা।
ওই বাংলাদেশি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি ফুটবলারদের ‍আচরণে একসময় ক্ষুব্ধ হয়ে তার হোটেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকরাও কথা শোনাতে থাকেন তাকে। তারা জানতে চান, ফুটবলাররা যে আচরণ করছে, অন্য অতিথিদের যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে, পুরো বাংলাদেশের মানুষই এমন আচরণ করে কিনা, অন্যদের এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে কিনা।
ওই প্রবাসী বলেন, হোটেলের ভিনদেশি নারী অতিথিদের দিকে অশোভনীয় দৃষ্টিতে তাকানো, ছোট লবিতে অনেক জোরে-শোরে হাসি-তামাশা করে কথা বলে অন্যদের বিরক্ত করা, হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটানো, অননুমোদিত স্থানে ধূমপান করা, অভ্যর্থনা কক্ষে কিউ না মেনে অন্যদের আগে যাওয়া এবং চার/পাঁচজন একসঙ্গে কথা বলতে থাকা, দুপুর ২টার সময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে সকালের নাস্তা চাওয়া, খাবারের সময় নির্দিষ্ট করে জানানো সত্ত্বেও নিজেদের ইচ্ছেমতো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার চাওয়া এবং চাহিদা অনুযায়ী খাবার নতুন করে রান্না করতে বাধ্য করার মতো কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ আমাকেই প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফুটবলারদের এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ আমাদের বাংলাদেশিদের কী হিসেবে উপস্থাপন করছে বিশ্বদরবারে? সে জবাব আমি আমার হোটেলের জিএমকেও দিতে পারিনি।
ওই প্রবাসী বলেন, তারা ভালো খেলতে না পারলেও দেশকে ডোবাতে যা করেছেন, তাতে একটি প্রশ্ন মাথায় না এসে পারছে না। এতো টাকা খরচ করে আমরা যদি একজন খেলা শেখানোর কোচ রাখতে পারি, তবে কেন আচরণ শেখানোর জন্য এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করা শেখানোর একজন কোচ রাখতে অর্থ খরচ করতে পারবো না?

মাশরাফি-সাকিবদের জন্যে ১৫ জার্সি নির্বাচন

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সির ডিজাইন প্রতিযোগীতায় ৫ হাজারেরও বেশি ডিজাইন জমা পরে। সেখান থেকে সেরা ১৫টি জার্সি নির্বাচন করা হয়েছে। ১৫টি জার্সি থেকে এসএমএস রাউন্ডের মাধ্যমে মাশরাফি- সাকিবদের জন্যে জার্সি নির্বাচন করা হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণ ও অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের থেকে ৫ হাজারেরও বেশি জার্সি ডিজাইন আয়োজকদের কাছে জমা পরে। সেখান থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে ৫০টি জার্সি পছন্দ করা হয়। এরপর ৫০টি থেকে ১৫টি জার্সি বেছে নেন বিচারকরা।
বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, বিসিবির পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ, বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও মডেল নোবেল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে সেরা নির্বাচিত হওয়া জার্সি পড়ে মাঠে নামবেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, প্রতিযোগীতার সেরা জার্সিটি জাতীয় দলের জন্যে নির্বাচন করা হবে। এছাড়া ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯, মেয়েদের জন্য এই জার্সিই ফলো করা হবে।’

ওয়ান নিউজ বিডি

বিপিএলের বিভিন্ন স্বত্বের জন্য দরপত্র

স্পোর্টস ডেস্ক : বিপিএলের স্পন্সরশিপ ও এজেন্সি স্বত্ব চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল। বিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ বিজ্ঞাপনে বিপিএল আয়োজনে প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের স্পন্সরশিপের জন্য দরপত্র জমা দেয়ার আহ্বান করা হয়েছে। মূলত তৃতীয় আসরের জন্যই এই বিজ্ঞাপন। তবে সমঝোতার মধ্যেমে পরবর্তীতে এই চুক্তি বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়।
বিপিএলের বিজ্ঞাপনে যেসব স্পন্সরশিপ চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো: টাইটেল স্পন্সরশিপ, কো-স্পন্সরশিপ, সহযোগী স্পন্সরশিপ, স্টেডিয়াম ব্র্যান্ডিং (গ্রাউন্ডস বোর্ড, মিড ওয়াল, সাইট স্ক্রিন, স্কোর বোর্ড, বাউন্ডারি রোপ, উইকেট ম্যাট, বোলিং প্রান্ত, ছাতা, স্টাম্প ব্র্যান্ডিং, ডাগআউট ব্র্যান্ডিং)।
আর অফিসিয়াল পার্টনারও চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কার্বোনেটেড বেভারেজ (সফট ড্রিংক বা কোমল পানীয়), অফিসিয়াল মিনারেল ওয়াটার, অফিসিয়াল এনার্জি ড্রিংকস, অফিসিয়াল স্ট্র্যাটিজিক টাইম আউট, অফিসিয়াল আম্পায়ার স্পন্সর, অফিসিয়াল ব্যাংকিং, অফিসিয়াল মোবাইল অপারেটর, অফিসিয়াল ইন্টারনেট সার্ভিস, রেডিও ব্রডকাস্টিং ও মোবাইল স্কোরিং।
স্পন্সরশিপ পেতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিসিবির অফিসে আবেদন পাঠাতে হবে। তবে চ্যানেল নাইনের সাথে আগের চুক্তি বহাল থাকায় সম্প্রচার স্বত্বের কোনো বিজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। আগামী ২৫ নভেম্বর শুরু হবে বিপিএলের তৃতীয় আসর।

ওয়ান নিউজ বিডি

সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫

আলোর রেখা দেখছেন সোহাগ-আল আমিন

জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়ার পর প্রায় দিশা হারিয়ে ফেলছিলেন সোহাগ গাজী ও আল আমিন হোসেন। নতুন মৌসুমের এলিট প্লেয়ার্স কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পেয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন দুজনই।
যেন অদ্ভূত এক অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছিলেন সোহাগ ও আল আমিন। পথ হাতড়ে বেরাচ্ছিলেন আলোয় ফেরার। সেখান থেকে বের হতে পারেননি এখনও। তবে সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলোর রেখা যেন দেখতে পেয়েছেন দুজনই। ২৭ জনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা দুই বোলার।
দুজনের গল্পটা প্রায় একইরকম। আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রেখেই আলো ছড়িয়েছেন দুজন। পেয়েছেন খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা। বেশ দ্রুতই আবার দেখেছেন উল্টো ছবি। বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল দুজনেরই।
আল আমিন সেই প্রশ্ন পেছনে ফেলে গত নভেম্বরে খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন। কিন্তু শৃঙ্খলাজনিত কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর পর আর ফিরতে পারেননি দলে। সবশেষ ছিলেন পনি (প্লেয়ার্স অব ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট) ক্রিকেটারদের তালিকায়।
বৃহস্পতিবার সেই পনির হয়েই অনুশীলন করছিলেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে। তার ফাঁকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন স্বস্তির কথা।
“অনেক ভালো লাগছে, খুবই স্বস্তি পাচ্ছি। পনিতে থাকলেও আসলে বুঝতে পারছিলাম না সামনে কি হবে। ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় অন্তত এই ভরসা পাচ্ছি যে, নির্বাচকদের পরিকল্পনায় আমি আছি। ফিটনেস নিয়ে আরও কাজ করা যাবে, নিজেকে প্রমাণের সুযোগ অন্তত পাচ্ছি। এটাই অনেক বড়।”
বোলিং অ্যাকশন শুধরে ক্রিকেটে ফেরা সোহাগ ছিলেন না কোথাও। না জাতীয় দল, না হাই পারফরম্যান্স ইউনিট, না পনি। নিজের তাগিদেই পনি ক্রিকেটারদের নেটে বোলিং করছিলেন নেট বোলার হিসেবে। কদিন আগে এক ভুল বোঝাবুঝিতে বাদ দিয়েছেন সেটিও। টালমাটাল এই সোহাগকেও পায়ের নিচে একটু শক্ত জমিনের আশ্বাস দিচ্ছে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের দলে ডাক।
“খুব হতাশ লাগছিল। কিছুদিন আগেও জাতীয় দলে খেলেছি। সেখান থেকে একদমই কোথাও নেই, এই অনুভূতিটা আসলে বলে বোঝানোর মতো নয়। ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। কিছুটা হলেও যে বিবেচনায় আছি, এতে নিজের ওপর বিশ্বাসটা ফিরে পাচ্ছি।”
২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের দুঃস্বপ্নের সময়ে সবচেয়ে আলোকবর্তিকা হয়ে ছিলেন আল আমিনই। সাদা বা রঙিন পোশাক, দলের টানা বাজে পারফরম্যান্সের মধ্যে তিনি আলো ছড়িয়ে গেছেন নিয়মিত। বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই হঠাৎ ছন্দপতন। আর ফিরতে পারেননি ছন্দে। বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর পর প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তার আচরণও। তাকে টানা দলের বাইরে রাখার ব্যখ্যাও ছিল বিভ্রান্তিকর।
তবে সব পেছনে ফেলে এখন সামনে তাকিয়ে আল আমিন, “খুব দ্রুত ভালো-খারাপ দুই সময়ই দেখেছি আমি। শিখেছিও অনেক। এটাও বুঝি, এক বছর আগের দলের যে অবস্থা ছিল, এখন তা নেই। প্রতিযোগিতাও অনেক বেড়েছে। যোগ্যতা প্রমাণ করেই ফিরতে হবে। আমার লক্ষ্য এখন সেটিই।”
সোহাগ অবশ্য অ্যাকশন শুধরে ফেরার পর একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। এরপরই আবার বাইরে। এইচপি বা পনি; কোথাও না থাকা আরও হতাশ করেছিল তাকে। প্রশ্ন উঠেছিল ফিটনেস নিয়ে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সোহাগও ফিটনেস ভালো করতে চান।
“একটি টি-টোয়েন্টি দেখে তো আর ফিটনেস পুরো বোঝা যায় না। তার পরও যখন ফিটনেস ভালো করার কথা বলা হয়েছে, সেটিই করতে চাই। আসলে বেশ কিছু দিন দলের বাইরে থাকলে ফিটনেসে এমনিই খানিকটা ঘাটতি থাকে। এখন সুযোগ যখন পাচ্ছি, ফিটনেস ভালো করতে চাই।”
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টেস্ট দল ছাড়াও অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বাংলাদেশ ‘এ’ দল নির্বাচন করা হবে মূলত এই ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের নিয়েই। এই দুই দলের একটিতে জায়গা পাওয়াই লক্ষ্য আল আমিনের।
“প্রথম লক্ষ্য তো অবশ্যই জাতীয় দল। না হলে অন্তত ‘এ’ দল। ‘এ’ দলে ভালো করলেও জাতীয় দলে ফেরা সম্ভব। চেষ্টা করব ভালো পারফরম্যান্স করার।”
সোহাগ অবশ্য পাখির চোখ করছেন জাতীয় দলকেই, “জাতীয় দলে ফেরাই একমাত্র লক্ষ্য। ‘এ’ দলে সুযোগ পেলেও অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করব। তবে আমি জাতীয় দলেই ফিরতে চাই আবার।”
দুটির কোনোটিতেই সুযোগ না পেলেও হাল ছাড়বেন না সোহাগ।
“একটিতেও সুযোগ না পেলেও ক্ষতি নেই। সামনে জাতীয় লিগসহ অনেক খেলা আছে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থেকে ফিটনেসটা ভালো করতে পারলে নিজেরই উপকার। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাহলে ভালো করতে পারব। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করতে পারলে সুযোগ নিশ্চয়ই আসবে জাতীয় দলে।”

৭ দলের বেশি নিয়েও হতে পারে বিপিএল

বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, দলের সংখ্যা বাড়তে পারে এবারের বিপিএলে। আর ক্রিকেটারদের দল নির্ধারিত হবে ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে।
আগের মালিকানা বাতিলের পর বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কিনতে ‘এক্সপ্রেশনস অব ইন্টারেস্ট’ জানিয়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠান। আগের দেনা শোধ করে লড়াইয়ে সামিল হয়েছে এখন পুরোনো দল রংপুর রাইডার্সও।
শনিবার বিসিবিতে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে সভা শেষে পরবর্তী করণীয় জানান বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান।
“পুরানোদের মধ্যে রংপুর পাওনা শোধ করে দেওয়ায় এখন বিবেচনাধীন আছে ১২ টি কোম্পানি। আগামী ৩০ অগাস্ট বা ১ সেপ্টেম্বরের দিকে তাদেরকে আমরা চিঠি পাঠাব, এক কোটি টাকার পে অর্ডার আর প্লেয়ার্স পেমেন্টের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি আমাদের কাছে জমা দিতে। এই সাড়ে ৫ কোটি টাকা পেলে আমাদের আর কোনো ঝুঁকি থাকবে না। সব খরচ এতেই পূরণ হয়ে যাবে। আগের ২ বারের মত সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই।”
বাড়তে পারে দল
বিপিএলের প্রথম আসরে খেলেছিল ছয় বিভাগের নামে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। পরের আসরে যোগ হয়েছিল রংপুরও। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বলেছিল, এবারও দল ৭টিই থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের তালিকা লম্বা দেখে দল বাড়ানোর কথাও ভাবছে বিসিবি, জানালেন বিসিবি প্রধান।
“আগ্রহী প্রতিষ্ঠান এর মধ্যেই ১২টি হয়ে গেছে। পুরানো দলগুলি টাকা পরিশোধ করে ফিরে আসতে চাইলে আগ্রহীদের সংখ্যা বাড়বে আরও। এবার বিপিএলে তাই ৭ দলের বেশিও হতে পারে। এমন যদি হয়, আমার মনে হচ্ছে যে বেশ কয়েকজন ভালো উদ্যোক্তা আছে, তাহলে আমরা দল বাড়াতেও পারি।”
নাজমুল হাসান জানান, পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দেনা পরিশোধের শেষ সময় ২৭ অগাস্ট। এরপর আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেখে, যাচাই-বাছাই করে নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে।
পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুযোগ
রংপুর রাইডার্স দেনা শোধ করেছে, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস নিষিদ্ধ। বাকি ৫ ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে দেনার পরিমাণটাও জানালেন বিসিবি প্রধান। সিলেট রয়্যালসের কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা, বরিশাল বার্নার্সের কাছে সাড়ে ছয় কোটি, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ৮ কোটি ১৯ লাখের মতো, দুরন্ত রাজশাহী ৬ কোটি ৯ লাখ এবং চিটাগং কিংসের কাছে পাওনা ৭ কোটি ৪৫ লাখ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরানোরা দেনা শোধ করে দিলেও তাদেরকে আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া নৈতিক ভাবে ঠিক হবে কিনা, এই প্রশ্নে নাজমুল হাসান নিজেও যেন একটু সংশয়ে পড়ে গেলেন। শুরুতে তার কণ্ঠ কঠোর শোনালেও পরে একটু মিইয়ে এলো সুর।
“পুরানোদের মধ্যে রংপুর ছাড়া কেউ টাকা দেয়নি। আমি তো ওদের নামও শুনতে চাই না। আগের দেনা শোধ করতে হবে, তারপর এবারের টাকা দিতে হবে। তারপর আমরা বুঝতে পারব কাকে দেওয়া যায়। নৈতিক ভাবে ঠিক হবে কিনা, জানি না। তবে আগে যারা বাকি রেখেছিল, এটা তো তাদের বিপক্ষেই যাবে। কিন্তু আগেই যেহেতু প্লেয়ার্স পেমেন্টের ব্যাংক গ্যারান্টি নিচ্ছি, এবার তাই ঝুঁকি নেই। আগে তারা কি করেছে, এটা তখন হয়ত গুরুত্ব নাও পেতে পারে।”
‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’
বিপিএলের আগের দুই আসরে ক্রিকেটারদের দল নির্ধারিত হয়েছে উন্মুক্ত নিলামে। এবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আলাদা শ্রেণিতে ভাগ করে কোটা নির্ধারণ করে দেবে, বললেন বিসিবি প্রধান।
“দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের কোটা তৈরি করব আমরা। প্লেয়ার্স বাই চয়েজেই যেতে হবে আমাদের। ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ওখান থেকেই নিতে হবে। নজর দিতে হবে একটি দল খুব বেশি শক্তিশালী, আরেকটি বেশি দুর্বল যাতে না হয়। বিদেশি ক্রিকেটারদেরও বড় তালিকা আমরা দিয়ে দেব। প্রতি দল এখান থেকে ৪ জন করে বিদেশি নিতে পারবে।”
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের তৈরি করা তালিকার বাইরেও কোনো দল চাইলে বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারবে। তবে সেই বিদেশী ক্রিকেটারদের আসতে হবে নিজেদের ঝুঁকিতে।
“বিদেশির তলিকা করে দেবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, তিনটি ক্যাটাগরি করে। পারিশ্রামিকও নির্ধারণ করে দেব। এর বাইরেও কোনো দল চাইলে নিতে পারে বিদেশি, সেটা আমরা বন্ধ করব না। কিন্তু তাদের পেমেন্টের গ্যারান্টি আমরা দেব না।”