শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

চিটাগাং কিংসের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

২০১২ সালে যে জাঁক জমকের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিপিএল এর আগমন হয়েছিল ২০১৩ তে এসে তা অনেকটাই মিইয়ে যায়। নানান অনিয়মের কারণে দ্বিতীয় আসরের পরে আর মাঠে গড়ায়নি বিপিএল। তৃতীয় আসরের জন্য ২০১৫ সালের নভেম্বরে তারিখ ঘোষণা করা হলেও আবারো উঠে আসছে জানা-আজানা নানা অধরণের অনিয়মের খোঁজ।
বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোন দল তাদের ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ না করতে পারলে বিসিবি থেকে সেই টাকা পরিশোধ করা হবে কিন্তু তৃতীয় বিপিএল তারিখ ঘোষণা করা হলেও অনেক ক্রিকেটারই এখনো তাদের পাওনা বুঝে পাননি। এমতাবস্থায় কিছু ক্রিকেটার মুখ খুলেছেন তাদের পাওনা সংক্রান্ত বিষয়ে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে চিটাগাংস কিংসের হয়ে খেলা এনামুল হক জুনিয়র বলেন, ‘বেশিরভাগ টাকা আমাদের মানে চিটগাং কিংসের খেলোয়ারদেরই বাকি। শুধু আমি না আরাফাত সানিসহ আমাদের টিমমেট অনেকেরই টাকা বাকি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ চিটাগাং কিংসের প্লেয়াররাই।’
আরেকজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নাইম ইসলাম বলেন, ‘ওখান থেকে কোন টাকা পাওয়া হয়নি। আমাকে সামির ভাই(চিটাগাং কিংসের মালিক) কিছু টাকা দিয়ে বলেছিল এটা তোমার ঈদ বোনাস, তোমার কন্ট্রাক্টের টাকা থেকে এটা দেইনি। ’
তবে মালিক পক্ষ থেকে জোর গলায় বলা হচ্ছে তারা ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ করেছেন। ফ্রাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে সামির কাদের চৌধুরি বলেন, ‘আমার কথা হল, আমি বোর্ড কে দেই আর প্লেয়ারকে দেই, আমার তো কাগজ দেখালেই হবে। কাগজেই দেখা যাবে কে পেমেন্ট পেয়েছে আর কে পায়নি।’
মূলত মৌখিক আশ্বাস দিয়ে পাওনা পরিশোধের কাগজপত্রে সই আদায় করে পরবর্তীতে
আর টাকা না দেওয়ারই অভিযোগ উঠেছে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে।

কোন মন্তব্য নেই: