শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

স্পিনে টাইগার বধের পরিকল্পনা অজিদের

গত প্রায় এক বছরে বাংলাদেশ সফরে এসে হাসিমুখ নিয়ে ফিরে যেতে পারেনি কেউই। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বোলাররা তো সবসময়ই দারুণ, পাশাপাশি টাইগার ব্যাটসম্যানরাও এই সময়ে হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। তাই জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা - সব দেশের বোলাররাই স্রেফ তুলোধুনো হয়েছে টাইগারদের কাছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় একশোর কাছাকাছি রানের ব্যবধানে কিংবা সাত-আট-নয় উইকেটে জেতাকে যেন অভ্যাসে পরিণত করেছে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। টেস্ট ক্রিকেটেও তাদের উন্নতি চোখে পড়ার মত।
টাইগার ব্যাটসম্যানদের এই অভাবিত উন্নয়নে কপালে ভাঁজ পড়েছে অজিদেরও। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের ঘায়েলের ছক কষতে গিয়ে যে তাদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছে, তা তাদের হাবেভাবেই প্রমাণিত! কিন্তু এত প্রচেষ্টার পর কোন ভাল উপায় কি তারা বের করতে পেরেছে? হ্যাঁ, একটা উপায় তারা বের করেছে। বাংলাদেশকে তারা স্পিনের কুপোকাত করার ফন্দি এঁটেছে!
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শের দেয়া ইঙ্গিত যদি ঠিক হয়, তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দলে ফিরতে পারে এশটন এগার। ২২ বছর বয়সী পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিনারের রেকর্ড কিন্তু খুব একটা ভাল না। ২০১৩ সালে ১২৪.০০ গড়ে দুই উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তবু তার উপরই ভরসা রাখতে যাচ্ছেন নির্বাচকরা।
রডনি মার্শ বলেছেন, "বাংলাদেশ টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই বলছে চট্টগ্রামে নাকি অনেক টার্ন হয়। তাহলে সেখানে আমাদের বোলিং আক্রমণ কেমন হবে? তিন পেসার, এক স্পিনার নয় অবশ্যই।" - এভাবেই একাধিক স্পিনার খেলানোর ব্যাপারে সূক্ষ্ম আভাস দিলেন তিনি! সেক্ষেত্রে এগারের সঙ্গী কে হবেন, এটাই এখন দ্রষ্টব্য। তবে এক্ষেত্রে নাথান লিওনের আসার সম্ভাব্যতাই বেশি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অক্টোবরের ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত হবে প্রথম টেস্ট। এই মাঠে আগেও একবার খেলার অভিজ্ঞতা আছে অস্ট্রেলিয়ার। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার ত্রয়ী শেন ওয়ার্ন, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিন ও ড্যান কালেন মিলে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট। এর মধ্যে ম্যাকগিল একাই নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট।

কোন মন্তব্য নেই: