সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫

আলোর রেখা দেখছেন সোহাগ-আল আমিন

জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়ার পর প্রায় দিশা হারিয়ে ফেলছিলেন সোহাগ গাজী ও আল আমিন হোসেন। নতুন মৌসুমের এলিট প্লেয়ার্স কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পেয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন দুজনই।
যেন অদ্ভূত এক অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছিলেন সোহাগ ও আল আমিন। পথ হাতড়ে বেরাচ্ছিলেন আলোয় ফেরার। সেখান থেকে বের হতে পারেননি এখনও। তবে সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলোর রেখা যেন দেখতে পেয়েছেন দুজনই। ২৭ জনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা দুই বোলার।
দুজনের গল্পটা প্রায় একইরকম। আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রেখেই আলো ছড়িয়েছেন দুজন। পেয়েছেন খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা। বেশ দ্রুতই আবার দেখেছেন উল্টো ছবি। বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল দুজনেরই।
আল আমিন সেই প্রশ্ন পেছনে ফেলে গত নভেম্বরে খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন। কিন্তু শৃঙ্খলাজনিত কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর পর আর ফিরতে পারেননি দলে। সবশেষ ছিলেন পনি (প্লেয়ার্স অব ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট) ক্রিকেটারদের তালিকায়।
বৃহস্পতিবার সেই পনির হয়েই অনুশীলন করছিলেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে। তার ফাঁকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন স্বস্তির কথা।
“অনেক ভালো লাগছে, খুবই স্বস্তি পাচ্ছি। পনিতে থাকলেও আসলে বুঝতে পারছিলাম না সামনে কি হবে। ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় অন্তত এই ভরসা পাচ্ছি যে, নির্বাচকদের পরিকল্পনায় আমি আছি। ফিটনেস নিয়ে আরও কাজ করা যাবে, নিজেকে প্রমাণের সুযোগ অন্তত পাচ্ছি। এটাই অনেক বড়।”
বোলিং অ্যাকশন শুধরে ক্রিকেটে ফেরা সোহাগ ছিলেন না কোথাও। না জাতীয় দল, না হাই পারফরম্যান্স ইউনিট, না পনি। নিজের তাগিদেই পনি ক্রিকেটারদের নেটে বোলিং করছিলেন নেট বোলার হিসেবে। কদিন আগে এক ভুল বোঝাবুঝিতে বাদ দিয়েছেন সেটিও। টালমাটাল এই সোহাগকেও পায়ের নিচে একটু শক্ত জমিনের আশ্বাস দিচ্ছে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের দলে ডাক।
“খুব হতাশ লাগছিল। কিছুদিন আগেও জাতীয় দলে খেলেছি। সেখান থেকে একদমই কোথাও নেই, এই অনুভূতিটা আসলে বলে বোঝানোর মতো নয়। ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। কিছুটা হলেও যে বিবেচনায় আছি, এতে নিজের ওপর বিশ্বাসটা ফিরে পাচ্ছি।”
২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের দুঃস্বপ্নের সময়ে সবচেয়ে আলোকবর্তিকা হয়ে ছিলেন আল আমিনই। সাদা বা রঙিন পোশাক, দলের টানা বাজে পারফরম্যান্সের মধ্যে তিনি আলো ছড়িয়ে গেছেন নিয়মিত। বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই হঠাৎ ছন্দপতন। আর ফিরতে পারেননি ছন্দে। বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর পর প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তার আচরণও। তাকে টানা দলের বাইরে রাখার ব্যখ্যাও ছিল বিভ্রান্তিকর।
তবে সব পেছনে ফেলে এখন সামনে তাকিয়ে আল আমিন, “খুব দ্রুত ভালো-খারাপ দুই সময়ই দেখেছি আমি। শিখেছিও অনেক। এটাও বুঝি, এক বছর আগের দলের যে অবস্থা ছিল, এখন তা নেই। প্রতিযোগিতাও অনেক বেড়েছে। যোগ্যতা প্রমাণ করেই ফিরতে হবে। আমার লক্ষ্য এখন সেটিই।”
সোহাগ অবশ্য অ্যাকশন শুধরে ফেরার পর একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। এরপরই আবার বাইরে। এইচপি বা পনি; কোথাও না থাকা আরও হতাশ করেছিল তাকে। প্রশ্ন উঠেছিল ফিটনেস নিয়ে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সোহাগও ফিটনেস ভালো করতে চান।
“একটি টি-টোয়েন্টি দেখে তো আর ফিটনেস পুরো বোঝা যায় না। তার পরও যখন ফিটনেস ভালো করার কথা বলা হয়েছে, সেটিই করতে চাই। আসলে বেশ কিছু দিন দলের বাইরে থাকলে ফিটনেসে এমনিই খানিকটা ঘাটতি থাকে। এখন সুযোগ যখন পাচ্ছি, ফিটনেস ভালো করতে চাই।”
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টেস্ট দল ছাড়াও অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বাংলাদেশ ‘এ’ দল নির্বাচন করা হবে মূলত এই ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের নিয়েই। এই দুই দলের একটিতে জায়গা পাওয়াই লক্ষ্য আল আমিনের।
“প্রথম লক্ষ্য তো অবশ্যই জাতীয় দল। না হলে অন্তত ‘এ’ দল। ‘এ’ দলে ভালো করলেও জাতীয় দলে ফেরা সম্ভব। চেষ্টা করব ভালো পারফরম্যান্স করার।”
সোহাগ অবশ্য পাখির চোখ করছেন জাতীয় দলকেই, “জাতীয় দলে ফেরাই একমাত্র লক্ষ্য। ‘এ’ দলে সুযোগ পেলেও অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করব। তবে আমি জাতীয় দলেই ফিরতে চাই আবার।”
দুটির কোনোটিতেই সুযোগ না পেলেও হাল ছাড়বেন না সোহাগ।
“একটিতেও সুযোগ না পেলেও ক্ষতি নেই। সামনে জাতীয় লিগসহ অনেক খেলা আছে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থেকে ফিটনেসটা ভালো করতে পারলে নিজেরই উপকার। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাহলে ভালো করতে পারব। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করতে পারলে সুযোগ নিশ্চয়ই আসবে জাতীয় দলে।”

৭ দলের বেশি নিয়েও হতে পারে বিপিএল

বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, দলের সংখ্যা বাড়তে পারে এবারের বিপিএলে। আর ক্রিকেটারদের দল নির্ধারিত হবে ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে।
আগের মালিকানা বাতিলের পর বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কিনতে ‘এক্সপ্রেশনস অব ইন্টারেস্ট’ জানিয়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠান। আগের দেনা শোধ করে লড়াইয়ে সামিল হয়েছে এখন পুরোনো দল রংপুর রাইডার্সও।
শনিবার বিসিবিতে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে সভা শেষে পরবর্তী করণীয় জানান বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান।
“পুরানোদের মধ্যে রংপুর পাওনা শোধ করে দেওয়ায় এখন বিবেচনাধীন আছে ১২ টি কোম্পানি। আগামী ৩০ অগাস্ট বা ১ সেপ্টেম্বরের দিকে তাদেরকে আমরা চিঠি পাঠাব, এক কোটি টাকার পে অর্ডার আর প্লেয়ার্স পেমেন্টের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি আমাদের কাছে জমা দিতে। এই সাড়ে ৫ কোটি টাকা পেলে আমাদের আর কোনো ঝুঁকি থাকবে না। সব খরচ এতেই পূরণ হয়ে যাবে। আগের ২ বারের মত সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই।”
বাড়তে পারে দল
বিপিএলের প্রথম আসরে খেলেছিল ছয় বিভাগের নামে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। পরের আসরে যোগ হয়েছিল রংপুরও। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বলেছিল, এবারও দল ৭টিই থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের তালিকা লম্বা দেখে দল বাড়ানোর কথাও ভাবছে বিসিবি, জানালেন বিসিবি প্রধান।
“আগ্রহী প্রতিষ্ঠান এর মধ্যেই ১২টি হয়ে গেছে। পুরানো দলগুলি টাকা পরিশোধ করে ফিরে আসতে চাইলে আগ্রহীদের সংখ্যা বাড়বে আরও। এবার বিপিএলে তাই ৭ দলের বেশিও হতে পারে। এমন যদি হয়, আমার মনে হচ্ছে যে বেশ কয়েকজন ভালো উদ্যোক্তা আছে, তাহলে আমরা দল বাড়াতেও পারি।”
নাজমুল হাসান জানান, পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দেনা পরিশোধের শেষ সময় ২৭ অগাস্ট। এরপর আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেখে, যাচাই-বাছাই করে নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে।
পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুযোগ
রংপুর রাইডার্স দেনা শোধ করেছে, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস নিষিদ্ধ। বাকি ৫ ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে দেনার পরিমাণটাও জানালেন বিসিবি প্রধান। সিলেট রয়্যালসের কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা, বরিশাল বার্নার্সের কাছে সাড়ে ছয় কোটি, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ৮ কোটি ১৯ লাখের মতো, দুরন্ত রাজশাহী ৬ কোটি ৯ লাখ এবং চিটাগং কিংসের কাছে পাওনা ৭ কোটি ৪৫ লাখ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরানোরা দেনা শোধ করে দিলেও তাদেরকে আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া নৈতিক ভাবে ঠিক হবে কিনা, এই প্রশ্নে নাজমুল হাসান নিজেও যেন একটু সংশয়ে পড়ে গেলেন। শুরুতে তার কণ্ঠ কঠোর শোনালেও পরে একটু মিইয়ে এলো সুর।
“পুরানোদের মধ্যে রংপুর ছাড়া কেউ টাকা দেয়নি। আমি তো ওদের নামও শুনতে চাই না। আগের দেনা শোধ করতে হবে, তারপর এবারের টাকা দিতে হবে। তারপর আমরা বুঝতে পারব কাকে দেওয়া যায়। নৈতিক ভাবে ঠিক হবে কিনা, জানি না। তবে আগে যারা বাকি রেখেছিল, এটা তো তাদের বিপক্ষেই যাবে। কিন্তু আগেই যেহেতু প্লেয়ার্স পেমেন্টের ব্যাংক গ্যারান্টি নিচ্ছি, এবার তাই ঝুঁকি নেই। আগে তারা কি করেছে, এটা তখন হয়ত গুরুত্ব নাও পেতে পারে।”
‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’
বিপিএলের আগের দুই আসরে ক্রিকেটারদের দল নির্ধারিত হয়েছে উন্মুক্ত নিলামে। এবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আলাদা শ্রেণিতে ভাগ করে কোটা নির্ধারণ করে দেবে, বললেন বিসিবি প্রধান।
“দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের কোটা তৈরি করব আমরা। প্লেয়ার্স বাই চয়েজেই যেতে হবে আমাদের। ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ওখান থেকেই নিতে হবে। নজর দিতে হবে একটি দল খুব বেশি শক্তিশালী, আরেকটি বেশি দুর্বল যাতে না হয়। বিদেশি ক্রিকেটারদেরও বড় তালিকা আমরা দিয়ে দেব। প্রতি দল এখান থেকে ৪ জন করে বিদেশি নিতে পারবে।”
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের তৈরি করা তালিকার বাইরেও কোনো দল চাইলে বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারবে। তবে সেই বিদেশী ক্রিকেটারদের আসতে হবে নিজেদের ঝুঁকিতে।
“বিদেশির তলিকা করে দেবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, তিনটি ক্যাটাগরি করে। পারিশ্রামিকও নির্ধারণ করে দেব। এর বাইরেও কোনো দল চাইলে নিতে পারে বিদেশি, সেটা আমরা বন্ধ করব না। কিন্তু তাদের পেমেন্টের গ্যারান্টি আমরা দেব না।”

দল বাড়ছে বিপিএলে!

স্পোর্টস ডেস্ক : ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের টালবাহানায় মনে হচ্ছিল বিপিএল তৃতীয় আসরে হয়তো তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল। সে কারণেই তৃতীয় আসরে একটি দল কমিয়ে ছয়টি করার পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। এখন দেখা যাচ্ছে ঘটনা পুরো উল্টো। বিসিবির এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্টে (ইওআই) বিপুল সাড়া পড়েছে। দল কেনার জন্য ১১টি নতুন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। পুরনোদের মধ্যে রংপুর রাইডার্সের মালিকপক্ষ বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছে। পুরনো আরও কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বকেয়া শোধ করে দিতে পারে। এত আগ্রহ দেখে এখন দল বাড়ানোর কথা ভাবছে বিসিবি। তাই আট দলের বিপিএল হতে পারে এবার।
দল বাড়ালেও এবার অর্থের ব্যাপারে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিবি। ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আগেভাগেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘এখন আমাদের বিবেচনাধীন আছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। ৩০ আগস্ট বা ১ সেপ্টেম্বরের দিকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেব। এক কোটি টাকার পে-অর্ডার এবং সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার জন্য। মোট সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। এই সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পেলে আমাদের আর কোনো ঝুঁকি থাকে না। বিদেশি এবং স্থানীয় মিলিয়ে সব খরচ হয়ে যাবে। তখন আগের দু’বারের মতো সমস্যা হওয়ার সুযোগ থাকবে না। আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যারা এ টাকা দিতে পারবে তাদের নিয়ে আমরা বসব। তখন আমরা বিবেচনা করে দেখব কাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া যায়।’ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কীভাবে দল গঠন করবে সে আলোচনাও গতকাল হয়েছে। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, এবার নিলাম নয়, প্লেয়ার্স বাই চয়েস পদ্ধতিতে দলবদল হবে। তিনি বলেন, ‘দেশি ক্রিকেটারদের ক্যাটগরি করে দেওয়া হবে। নজর রাখতে হবে, একটা টিম খুব বেশি শক্তিশালী বা আরেকটা বেশি দুর্বল যাতে না হয়। বিদেশি ক্রিকেটারদেরও বিরাট লিস্ট আমরা দিয়ে দেব। লিস্ট থেকেই নিলে সাত কোটি টাকার মধ্যে ভালো দল করা সম্ভব হবে। এর বাইরেও কেউ বিদেশি আনতে পারে। তবে তাদের পারিশ্রমিকের দায়ভার বিসিবির থাকবে না।’
ইওআই জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৭ আগস্ট। পরের দিন বৈঠক করে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রকাশ করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেদিন দেশে ছিলেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তাই দেশে ফিরে গতকাল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসে অগ্রগতি জেনে নেন বিসিবি সভাপতি। এর পরই দল বাড়ানোর কথা জানান তিনি, ‘দল এবার সাতটির বেশিও হতে পারে। আমরা যদি মনে করি, বেশ কয়েকজন ভালো উদ্যোক্তা আছে, তাহলে আমরা দল বাড়াতেও পারি। এখনই আমাদের বিবেচনায় আছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। পুরনো কেউ এলে সংখ্যা আরও বাড়বে।
তখন সেখান থেকে আমাদের বাছাই করতে হবে।’ পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বকেয়া পরিশোধের শেষ সময় ২৭ আগস্ট। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, পুরনোদের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, পুরনো পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের কাছে বিসিবির পাওনা ৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সিলেট রয়্যালসের কাছে পাওনা আট কোটি, বরিশাল বার্নার্স সাড়ে ছয় কোটি, রয়্যাল বেঙ্গল খুলনা আট কোটি ১৯ লাখ, দুরন্ত রাজশাহী ছয় কোটি নয় লাখ এবং চিটাগং কিংসের কাছে সাত কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাওনা।
এ পাওনা দিলেও পুরনো মালিকদের ফিরিয়ে আনা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে! বিসিবি সভাপতি অবশ্য বাস্তবের পথেই হাঁটলেন, ‘নৈতিক হবে কি-না জানি না। তবে আগে যারা বাকি রেখেছিল, এটা তো তাদের বিপক্ষেই যাবে। কিন্তু তারা যদি বকেয়া দিয়ে দেয়, তখন তো ঝুঁকি থাকবে না। এবার যেহেতু আগেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাংক গ্যারান্টি নিচ্ছি। তখন হয়তো আগে কি করেছে এটা গুরুত্ব নাও পেতে পারে।’

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

বিপিএলে এবার ‘আগে টাকা পরে দল’ পদ্ধতি

পূর্বের সব ভুল শুধরিয়ে নিতেই নতুনভাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে, দল পাওয়ার আগে অর্থ জমা দিতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। জানা গেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে বলা হয়েছে এক কোটি টাকার ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি’ পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে। একই সঙ্গে দিতে হবে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিও। যে অঙ্ক প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক হিসেবে ব্যয় করার কথা। অর্থ সংক্রান্ত এসব বিষয়গুলো চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই জমা দেওয়ার জন্য ডেডলাইন দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এদিকে পে-অর্ডার ও ব্যাংক অর্ডারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা বলেন, ‘আগ্রহীদের আমরা ৩০ আগস্টের মধ্যে তাদের পে-অর্ডার এবং ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে বলেছি।’ অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আবেদন করলেও শেষপর্যন্ত সাতটির ভাগ্যে দল জুটবে। তারপরেও কেন অর্থ জমা দিতে বলা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আগে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহীদের সাড়া কেমন, সেটি দেখতে চাই। তার পরই না হয় ঠিক করা হবে কারা ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে আর কারা নয়।’ প্রথম দুই আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের অর্থ বকেয়া রাখলে সমালোচনার মুখে পড়ে বিপিএল। এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা একটি টাকাও পাননি। তারপরেও দেখা গেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদেরকে দিয়ে সই করিয়ে রেখেছে। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুরনো দলগুলোর চুক্তি। দুবছর বন্ধ থাকার পর আবারো টুর্নামেন্টটি শুরু হওয়ায় তাই সবকিছু নতুনভাবে ঢেলে সাজাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের নভেম্বরে বিপিএল মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে।

'শক্তির জায়গাগুলোকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করি'

ক্রিকেট বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানেরই কিছু বিশেষ খেলার ভঙ্গি থাকে। যে ভঙ্গিতে খেলতে ব্যাটসম্যান স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। যেমন ব্রায়ান লারা একটু ব্যাকফুটে গিয়ে শট করতে পছন্দ করতেন, আবার তামিম ইকবাল সামনের দিকে এগিয়ে এসে খেলতে পছন্দ করেন। সাকিব আল হাসান স্কুপ শট বা সৌম্য সরকার পেরিস্কুপ শট খেলতে বরাবরই পছন্দ করেন।
তেমনি ব্রায়ান লারার ভক্ত মুশফিকুর রহিম স্লগ সুইপ শট খেলতে পছন্দ করেন। এই ভাবে খেলতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন বেশি। তবে কি শুধু অনুশীলন নাকি সহজাত ভাবেই এ শট খেলেন , এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশ সময় নিয়ে কিভাবে এই শট খেলার শুরু, সবকিছু গুছিয়ে উত্তর দেন মুশফিক।
তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৩,অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটে থাকতেই এই শটটা খেলতে চেষ্টা করতাম। ইদানীং ক্রিকেট অনেক বদলে যাওয়ায় বেশি খেলছি। ওয়ানডে,টি-টোয়েন্টি এমনকি টেস্টেও বোলারদের চাপে রাখতে বা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে বাড়তি শট থাকতে হয়। স্লগ সুইপ তেমনই একটা শট। আমি এটাকে প্রকৃতিপ্রদত্তই মনে করি। স্লগ সুইপ আমাকে শিখতে হয়নি। তবে বিকেএসপিতে প্রথম দিকে মতি স্যার বলেছিলেন,সুইপ শটগুলো একজন কিপার-ব্যাটসম্যানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিপারদের অনুমান ভালো থাকে। আর অনুমান ভালো থাকলে সুইপ শটে অনেক সুবিধা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্য স্লগ সুইপই আমার একমাত্র পছন্দের শট নয়,কাভার ড্রাইভও অনেক ভালো লাগে। এটা অনুশীলন করে রপ্ত করতে হয়েছে। ব্যাটিংয়ে আমার আদর্শ ব্রায়ান লারার কাভার ড্রাইভ দেখে এই শটটা ভালো করার প্রেরণা পেয়েছি। ক্রিকেটে একটা সুন্দর কাভার ড্রাইভের চেয়ে বড় শিল্প আর কিছু নেই।’
সহজাত হলেও স্লগ সুইপ আরো ভালোভাবে খেলতে অনুশীলনে বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। এ বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘যেটা আমার শক্তির জায়গা, প্রতিপক্ষ কিন্তু সেটা নিয়েই বেশি পরিকল্পনা করে। অন্যদিকে আমি চাই আমি আমার শক্তির জায়গা থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে। অনেকেই নিজের দুর্বল জায়গা নিয়ে বেশি কাজ করে,আমিও করি। তবে গুরুত্ব দিই শক্তির জায়গাগুলোকে আরও শক্তিশালী করার ওপর। দুর্বল জায়গা নিয়ে খুব বেশি অনুশীলন করে লাভ নেই, কারণ আমি ওই সব শট কম খেলি।’

ক্রিকেটারদের পড়াশোনায় ফেরাচ্ছেন মুশফিক

ক্রিকেটের সঙ্গে পড়াশোনাটাও প্রয়োজনীয় সেটা প্রমাণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। তাই দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদেরকেও পুনরায় পড়াশোনায় ফেরাচ্ছেন সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের এই অধিনায়ক।
বুধবার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুশফিকুর রহিম। তার মতে, ক্রিকেটের পাশাপাশি শিক্ষাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণেই এটা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়ালেখাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভালো ক্রিকেটার হওয়ার জন্য লেখাপড়ারও প্রয়োজন আছে। পড়ালেখা বাদ দিয়ে শুধু ক্রিকেট খেলা উচিত নয়। শিক্ষা থাকলে তা মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক সাহায্য করে। এই কারণেই দলের তরুণ ক্রিকেটারদেরকে পড়ালেখা করার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এসময় তিনি জানান, এরই মধ্যে দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে আবারো লেখাপড়ায় ফিরিয়েছেন। এর মধ্যে দুই ব্যাটসম্যান এনামুল হোক বিজয় ও সৌম্য সরকার উল্লেখযোগ্য।
নিজে উচ্চশিক্ষিত হতে পেরে বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমার উচ্চশিক্ষার জন্য বাবা-মাকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে সবসময় পড়ালেখার সাথে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছেন। আর লেখাপড়ার কারণেই মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক সুবিধা পেয়েছি আমি।
তিনি আরো বলেন, ‘খেলোয়াড়ি জীবন মাত্র কয়েক বছরের, কিন্তু লেখাপড়া সারা জীবনের। তাই আমি তরুণদের লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শেষে এই মুহুর্তে বড় ছুটিতে কাটাচ্ছেন মুশফিকসহ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

ছুটির মাঝেই নেটে মুশফিক

মিরপুর থেকে) ব্যাটে রানের দেখা মিলছিল না। টেস্ট, ওয়ানডে কি টি-টোয়েন্টি! সবখানেই ব্যাট হাতে নিজের ছায়া হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু নিজের খারাপ সময়ের ব্যাপ্তিটা বড় হতে দেননি। সমালোচনা শুরুর আগেই সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রানে ফিরতে সব ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে রানেও ফিরেছেন। তাই বলে চেষ্টা থামিয়ে দেননি ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যটসম্যান। পরিত্যক্ত ঢাকা টেস্টের পর থেকেই দলের আর সবার মতো ছুটি পেয়েছিলেন মুশফিক। যে ছুটি চলছে এখনো। শেষ হবে ২২ আগস্ট।
কিন্তু এর পাঁচদিন আগেই মাঠে হাজির বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাঠে ফিরে এবার অবশ্য কোনো অনুশীলন নয়। ব্যাট-প্যাড নিয়ে সোজা মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে। সেখানে আজ সোমবার বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিং করলেন মুশফিক। মাঠে ফেরার দিনেই মুশফিককে ব্যাট হাতে দেখে বুঝতে বাকি থাকে না যে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে করা ৬৫ রানের ইনিংসটি তার রানখরার জ্বালা মেটাতে পারেনি।
এই ইনিংসটার দেখা পেতে যে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল মুশফিককে। ১২ ইনিংস পর এসে মিলেছিল হাফ সেঞ্চুরির দেখা। এবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগেভাগেই নেটকে সঙ্গী বানিয়ে ফেলছেন টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও অনুশীলনের চেয়ে নেটকে বেশি আপন করে নিয়েছিলেন। সবার আগে মাঠে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা নেটে ব্যাটিং করেছেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান। সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এবার তাই আগে থেকেই ব্যাটিংটা আরো একটু ঝালিয়ে নিতে নেটমুখী মুশফিক। আর সেটা ছুটি শেষ হওয়ার পাঁচদিন আগেই!

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে মুশফিক ও বাংলাদেশ বন্দনা

বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সমর্থকেরা অনেক সময় তার রক্ষণাত্মক অধিনায়কত্বের সমালোচনা করলেও পরিসংখ্যান বলে টেস্ট ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক তিনি। ২৪টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ৪ ম্যাচে, হার ১১ আর ড্র ৯টিতে। সাফল্যের হার ১৬.৬৬ শতাংশ।
এবার মুশফিককে অন্যতম সেরা মানলো ব্রিটেনের গণমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। তাদের বিচারে এই মুহুর্তে টেস্টের চতুর্থ সেরা অধিনায়ক মুশফিক। মুশফিক ও বাংলাদেশের প্রশংসা করে টেলিগ্রাফ লিখেছে, ‘অতীতে অনেক সময় এমন মনে হয়েছে যে মাঠে নামার আগেই হাড় মেনে নিয়ছে বাংলাদেশ। কিন্তু লড়াকু মন মানসিকতার মুশফিকের নেতৃত্বে তারা জেতার জন্যেই মাঠে নামে, অন্তত লড়াই করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি করতে থাকা দল এখন বাংলাদেশ এবং নিজেদের মাটিতে ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। দেশের মাটিতে সর্বশেষ ১২ টেস্টের মাত্র ২টিতে হেরেছে তারা। সামনে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।’

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৫

‘সম্মানে কলিজা বড় হয়ে যায়’

আসন্ন অনূর্ধ্ব- ১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ও শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুবাদে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। বিশ্বকাপের আগে এমন সংবর্ধনা তাদেরকে আরো অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা কমিটির উপস্থিতিতে তরুণ ক্রিকেটারদেরকে সোমবার সংবর্ধনা দিয়েছে কক্সবাজারের মিশুক ওয়ারিয়ার্স ক্লাব। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর
প্রিয়.কমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে অনুষ্ঠান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন মিরাজ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে এসে আমাদের সংবর্ধনা দেবে, এটা ভাবিনি। অনেক ভালো লাগছে। বিসিবির কর্মকর্তারা ছিলেন। তাদের মাধ্যমে এমন একটা আয়োজনে আমরা অনুপ্রাণিত হবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের পারফরম্যান্সের মুল্যায়ন করে সেটা অবশ্যই ভালো লাগার কথা। আজ সেটাই হয়েছে। মনে হয়েছে যেন কলিজাটা বড় হয়ে গেলো সম্মানে। বোর্ডের সবাই ছিলেন, সবাই আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছেন। এগুলো সবই আমাদেরকে আরো ভালো খেলতে তাগিদ দেবে।’
আসছে বছরের বিশ্বকাপেও অনেক আশাবাদী মিরাজ ও তার দল। বললেন, ‘এবারের বিশ্বকাপ দেশের মাটিতে। তাই স্বপ্ন কিংবা আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে কাপে খেলা। সেখানে যদি খেলতে পারি, তাহলে চ্যাম্প্যিয়ন হওয়ার জন্যেই খেলবো ইনশাআল্লাহ।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬-১ ও ৫-২ এ সিরিজ জয় আলাদা করে চেনাচ্ছে বাংলাদেশের এই দলটিকে। বাংলাদেশের মাটিতে বছরের প্রথম দিকে ৬-১ এর বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মিরাজবাহীনি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই তাদের বিপক্ষে ৫-২ এ জিতে নেয় তারা।